শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
জুলফিকার আমীন,বিশেষ প্রতিনিধি
উপজেলা পরিষদের ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) টেন্ডারে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ৬০ লাখ টাকা ফেরত যাওয়ায় উপজেলা প্রকৌশলীর অপসারণ দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাধারণ ঠিকাদাররা। বৃহস্পতিবার সকালে মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সাধারণ ঠিকাদাররা এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় ঠিকাদারদের পক্ষে মোঃ লোকমান হোসেন খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের এডিপির কাজের জন্য ২৪ জুন টেন্ডার আহবান করেন এবং ৫% কমিশনে ঠিকাদারদেরকে টেন্ডার ড্রপিং এর জন্য বলেন। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাইদ মোঃ জসিম উপজেলা চেয়ারম্যানের যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ ঠিকাদারদের বাদ দিয়ে ৭/৮জন পছন্দ সই ঠিকাদারকে ২২% থেকে ২৭% কমিশনে কাজ পাইয়ে দেয়। এছাড়া পিপিআর বিধি অনুযায়ী আরএফকিউ টেন্ডার পদ্ধতিতে সিডিউল বিক্রি বা দরপত্র বিতরণের ক্ষেত্রে ৭১ (৩) ধারায় কোন প্রকার মূল্য গ্রহণ করা যাবে না ও ৭০ (৬) ধারায় ৫% জামানত গ্রহণ করা যাবে না যাহা সম্পূর্ণ বেআইনী। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী আরএফকিউ পদ্ধিতে প্রতি সেটের ধার্য্যমূল্য ৪,৮০০/-(চার হাজার আটশত) টাকা লিখে রশিদ প্রদান করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫,৫০০/-(পাঁচ হাজার পাঁচশত) টাকা গ্রহণ করে আনুমানিক ১২০টি সিডিউল সেট বিক্রি করে প্রায় ৬,০০,০০০/-(ছয় লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নেন। যাহা পিপিআর বহির্ভূত ও সাধারণ ঠিকাদারদের সাথে প্রতারণার সামিল। তিনি আরো জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদের কিছু সংখ্যক চেয়ারম্যানগণ রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে করোনাকালীন সময়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজীকে জড়িয়ে মিছিল ও সমাবেশ করায় নিন্দা জানান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন হেলাল মুন্সী, সাবেক কাউন্সিলর হেমায়েত উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, আ’লীগ নেতা নুরুজ্জামান তালুকদার, কামরুল আকন, যুবলীগ নেতা তৌহিদ মাসুম, বাবু শরীফ ও কালাম মোল্লা প্রমুখ।